নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড-এর ঢাকা এভিয়েশন ডিপো-এর মেকানিক্যাল সুপারভাইজার মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার-এর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট নিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মো: জয়নাল আবেদীন সিকদার পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড-এ চাকুরিতে যোগদানের সময় তার যে স্কুল সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন সেটি আরেকজনের সার্টিফিকেট।
মো: জয়নাল আবেদীন সিকদার সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৮১ সালে পরীক্ষায় উত্তির্ণ হন। সার্টিফিকেটে তার নাম মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার এবং পিতার নাম মো. আপ্তাব উদ্দিন উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী সার্টিফিকেটে উল্লেখিত নামের ব্যক্তি আর এয়ারপোর্ট ডিপো-এর মেকানিক্যাল সুপারভাইজার মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার দুজন ভিন্ন ব্যক্তি।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ে খোঁজ নেওয়া হলে রেজিস্ট্রেশন নং- ৪৬২৫/১৯৭৯ রোল নং- ঢাকা ৬০১ নাম: মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার পিতা: মো: আপ্তাব উদ্দিন, সার্টিফিকেটটি পাওয়া যায়। কিন্তু সার্টিফিকেটে ছবি না থাকায় সার্টিফিকেটটি মূলত কার সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল কর্মকর্তা বলেন যে এই সার্টিফিকেট নিয়ে তাদেরও সন্দেহ আছে।
তবে তথ্য মতে বর্তমানে যে এই সার্টিফিকেট দিয়ে যিনি পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড-এ চাকুরি করছেন তিনি এবং মূল সার্টিফিকেটটি যার তারা এক ব্যক্তি নয়।

এমনকি এই সার্টিফিকেট দিয়ে মো: জয়নাল আবেদীন সিকদার জাতীয় পরিচয় পত্র নং ২৬১১০৩৮৭৭৬৪৭৮ নিবন্ধিত করেন। যেখানে তার বর্তমান ঠিকানা: ১২৩ নদ্দাপাড়া, দক্ষিণ খান, ঢাকা উল্লেখ রয়েছে।
সরজমিনে বর্তমান ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে ৫ তলা বিশিষ্ঠ একটি বাড়ি করেছেন তিনি ‘দীপ মহল’ নামে। এই বাড়িটি ২০০৭ সালে তিনি নির্মাণ করেছেন। বাড়িতে তাকে পাওয়া না গেলে তার ছেলে দীপ কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সাথে।
দীপ জানান, যে তার জানা মতে তার বাবার সার্টিফিকেট এবং চাকুরির তথ্যে বয়স নিয়ে একটু ঝামেলা রয়েছে। এটা চাকুরিতে গোপন করা হয়েছে।
দীপের কথায় কেচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে এসেছে। প্রশ্ন জাগে তাহলে মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার চাকুরিতে যোগদানের সময় তাহলে বয়স নিয়েও জালিয়াতি করেছেন!!
দীপকে তার বাবা সিদ্ধেশ্বরী বালিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ইতস্তত করতে থাকেন। পরবর্তীতে তিনি সংবাদ প্রচার না করার জন্য জোর অনুরোধ করেন।

সূত্র মতে জানা যায়, মো. জয়নাল আবেদীন সিকদার শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি যে সময় ঢাকা থেকে মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়েছেন সেসময় তিনি শরিয়তপুর জেলায় ছিলেন।
এবিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেদের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো. শহিদুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মুঠোফোনে মন্তব্য দেওয়ার বিধি-নিষেধ রয়েছে। সরাসরি তার চট্টগ্রাম অফিসে গিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলেন।