অশালিন ভিডিওর আরেক নাম : টিকটক-লাইকি

0

একবিংশ শতাব্দীতে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া কোনকিছু চিন্তাই করা যায় না। এনালগ থেকে অতিমাত্রায় ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে শহর থেকে গ্রামের মানুষ। স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করেন কিন্তু ফেইসবুক, ইউটিউব টিকটক কিংবা লাইকির নাম শোনেননি বা ব্যবহার করেননি এরকম লোক খোঁজে পাওয়া বিরল।

অধিকাংশ অ্যাপসের মাধ্যমে ভালো কাজ হতে দেখা গেলেও টিকটকে অ্যাপের ব্যবহারকারী কার্যক্রম অ্যাপসটিকে করেছেন বিতর্কিত। এই অ্যাপসের মাধ্যমে নারী পাচার থেকে শুরু করে মাদক ও কিশোর গ্যাং এর প্রভাব সামনে এসেছে। উঠতিবয়সী তরুণ-তরুণীরা টিকটক-লাইকিসহ বিতর্কিত অ্যাপগুলোর মাধ্যমে অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে তৈরি করছেন ভিডিও। যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ বার্তা থাকে।

অ্যাপগুলো নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে নেটিজেনরা বলছেন, এসব অ্যাপের ব্যবহার তরণ প্রজন্মকে বিপদগামী করছে। নষ্ট হচ্ছে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। তরুণ ও কিশোররা গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, হয়ে উঠছে সহিংস। এই আ্যপসের মাধ্যমে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায় এবং নিজেকে জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করে। এছাড়া এসব আ্যপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।

তথাকথিত সেলিব্রিটি হওয়ার ট্রেনডেন্সি বর্তমান উঠতি প্রজন্মের মধ্যে সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ।টিকটকে প্রবেশ করলেই মনে হয় এ এক অশ্লীল জগৎ- কুরুচিপূর্ণ সব ভিডিও । ছেলে মেয়ে সেজে, মেয়ে ছেলে সেজে নোংরা অঙ্গভঙ্গি – এ যেনো দেহ দেখিয়ে জনপ্রিয়তা পাবার জগৎ । এখানে না আছে শিক্ষামূলক কিছু, না আছে গঠনমূলক কিছু।

No photo description available.
মিনহাজুল আবাদীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here