নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় এবং বেসরকারি বিপণন কোম্পানিগুলোর আবেদনে দেশের বাজারে সিলিন্ডারে বিক্রি হওয়া তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম টানা চতুর্থ মাসে বাড়ানো হল।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি রোববার ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৮৬ টাকা ০৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ টাকা নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে দাম বাড়ল ২২ শতাংশ।
সে অনুযায়ী অক্টোবর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে মূসকসহ ১২৫৯ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ১০৩৩ টাকা ছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরমকো কোম্পানির প্রোপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
এর মধ্যে বেসরকারি বিপণন কোম্পানিগুলোর আবেদনে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার শুনানি করে পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে নতুন এই মূল্যহার নির্ধারণ করা হল।
কারওয়ানবাজার টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে এই শুনানিতে কিছু নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়।
এতদিন আগের মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী নতুন মাসের এলপিজির খুচরা মূল্য নির্ধারিত হত। নতুন নিয়মে চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এলপিজির খুচরা মূল্য নির্ধারিত হবে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, অক্টোবর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের কন্ট্রাক্ট প্রাইস বা সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৮০০ ডলার ও ৭৯৫ ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণের (৩৫:৬৫) গড় মূল্য প্রতি টন ৭৯৬, ৭৫ ডলার।
এসব বিবেচনায় বেসরকারি এলপিজির খুচরা মূল্য মূসক ছাড়া প্রতি কেজি ৯৮.৩৩ টাকা এবং মূসকসহ প্রতি কেজি ১০৪ টাকা ৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতি ১২ কেজি এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১২৫৯ টাকা নির্ধারণ হয়েছে।
নতুন ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যেমন পড়েছ, আবার কোম্পানিগুলোর পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টিও রয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, “অগাস্টের তুলনায় অক্টোবরে প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেনের মূল্য গড়ে ১৪০ ডলার বেড়েছে। এর ফলে প্রতি ১২ কেজি এলপিজির মূল্য মূসকসহ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫৮ টাকা।”
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম