ডিপোতে আগুন: সিসি ক্যামেরায় কারণ খোঁজার চেষ্টা সিআইডির

0

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার এজন্য বেসরকারি এ কন্টেইনার ডিপোর ১১৮টি সিসি ও আইপি ক্যামেরা জব্দ করেছেন এ বিভাগের কর্মকর্তারা।

সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ পার হলেও কারণ জানা যায়নি। এজন্য বেশকিছু দল কাজ করছে। তার পাশাপাশি ‘ডিজিটাল এভিডেন্স’ সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, কন্টেইনার ডিপোর চারপাশে ৩২টি আইপি ক্যামেরাসহ মোট ১১৮টি ক্যামেরা লাগানো ছিল। যেগুলো কোম্পানিটির আইটি কক্ষ থেকে পরিচালনা করা হত। কিন্তু আগুনের পর বিস্ফোরণে আইটি কক্ষটি এবং বেশ কিছু ক্যামেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এরপরও যেসব ক্যামেরা পাওয়া গেছে সেগুলো থেকে বোঝার চেষ্টা করা হবে শনিবার রাতে কী ঘটেছিল বিএম ডিপোতে, যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

এদিন সকালে সিআইডির চার সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি ডিপোর দুর্ঘটনাস্থল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে দলের সদস্যরা।

পরিদর্শক শরীফ বলেন, আইপি ও সিসি ক্যামেরাগুলো এবং কিছু ডিভিআর জব্দ করে সীতাকুণ্ড থানার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

“থানা পুলিশ সেগুলো ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে পাঠাবে এবং সেখানে পরীক্ষাগারে ক্যামেরাগুলো থেকে ভিডিও, ছবি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।”

গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে অবস্থিত বেসরকারি ওই কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।

গত ৪ জুন শনিবার রাতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে বিভিন্ন সংস্থা। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দুইজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। এরপর সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দুইজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় হতাহতের বেশিরভাগই ফায়ার সার্ভিস কর্মী, ডিপোর শ্রমিক-কর্মচারী, কন্টেইনারবাহী গাড়ির চালক-সহকারী ও শ্রমিক।

আহতদের মধ্যে একশর বেশি মানুষ চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কারও কারও অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here