থাইরয়েডের ওপর ভালো প্রভাব রাখে যেসব খাবার

0
ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

লাইফস্টাইল ডেস্ক: থায়ারয়েড গলায় থাকা প্রজাপ্রতির মতো একটা গ্রন্থি যা দেহের সার্বিক কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সহায়তা করে।

বেঙ্গালুরুর কোরামাঙ্গলার ‘অ্যাপোলো স্পেকট্রা হাসপাতাল’য়ের পুষ্টিবিদ ডা শরণ্য শ্রীনিবাস শাস্ত্রী বলেন, “এই পদ্ধতিতে ত্রুটি হলে হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোথাইরয়েডিজম এবং থাইরয়েডাইটিসের মতো অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।”

টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এর ফলে চুল পড়া বা টাক হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বৃদ্ধি বা ওজন হ্রাস, অনিয়মিত মাসিক চক্র, ক্লান্তি, অলসতা ইত্যাদি অনুভূত হয়।”

আয়োডিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ সুষম খাবার এবং এর সঙ্গে পর্যাপ্ত শরীরচর্চা, ওষুধ খাওয়া থায়রয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

জাফরান: থায়ারডের সমস্যায় জাফরান উপকারী। এটা পেটের সমস্যা, ব্যথা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সবজির সঙ্গে রান্না করে বা দুধের সঙ্গে মিলিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে জাফরান খাওয়া উপকারী। এতে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়।

কলা: আরেকটি উপকারী খাবার যা নানাভাবে খাওয়া যায়। আয়রনের প্রাকৃতিক উৎস হওয়াতে নিয়মিত কলা খাওয়া থায়ারয়েডের অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

মুগ ডাল: এটা প্রোটিনের অন্যতম ভালো উৎস। এছাড়াও রয়েছে লৌহ ও জিংক যা প্রাকৃতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ‘টি-ফোর’ সক্রিয় করে টি-থ্রি’তে রূপান্তরিত করে। ফলে থায়ারয়েডের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

সপ্তাহে দুইবার রাজমা, ডাল বা সুপ খাওয়া উপকারী।

বেইক করা মাছ: বেইক করা মাছ সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা থায়ারডের জন্য উপকারী।

সপ্তাহে একবার বেইক করা মাছ খাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি কমায় ও থায়ারয়েডের জন্য উপকারী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবারহ করে।

শস্য-জাতীয় খাবার- সবজি, ডাল ও সামদ্রিক খাবার: শস্য-জাতীয় খাবার উচ্চ লৌহ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ যা দেহে সারাদিন শক্তি যোগায়।

অপ্রক্রিয়াজাত শস্য- ডাল, আটা ইত্যাদি আঁশ, প্রোটিন, সেলেনিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং থায়ারয়েডের জন্য ভালো কাজ করে।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here