পদ্মা সেতু উদ্বোধনে খালেদাকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আইনি বাধার কারণে সংশয় জানিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তা কাটিয়ে দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আনিসুল হক বলেছেন, “খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুটি শর্ত আছে, তা হল তিনি বাংলাদেশের ভিতরে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন, আর বিদেশে যেতে পারবেন না। সে কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় তাকে দাওয়াত দিতে আইনি কোনো বাধা নেই।”

রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী একথা বলেন বলে এক তথ্য বিবরণিতে জানানো হয়েছে।

আইনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এতে আরও বলা হয়, আইনি বাধা না থাকার কথা সেতুমন্ত্রীকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আইনি জটিলতা না থাকলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলেও সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তাধীনে মুক্তি নিয়ে গুলশানে নিজের বাসায় রয়েছেন। গত দুই বছর ধরে বাসায় থাকার মধ্যে তিনি শুধু কয়েকবার হাসপাতালেই গেছেন। এছাড়া অন্য কোথাও যাননি।

দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হবে। জাঁকজমকপূর্ণভাবে তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে।

আইনমন্ত্রী রোববার সাংবাদিকদের আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্বেষের বশীভূত হয়ে কারও প্রতি কোনো ‘অ্যাকশন’ নেন না।”

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে হওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “তারা (বিএনপি) যদি এটা বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকার এই মামলাগুলো করেছে, তাহলে আমার মনে হয় যে, তারা শুধু শুধু জনগণ যেটা বিশ্বাস করে তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে, সেটাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ীমী লীগ সরকারকে দোষারোপ করছে। তাদের দোষারোপ করাটা ভিত্তিহীন।

“দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালের আইনের পরে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুদককে চেয়ার টেবিলও দেয়নি বিএনপি সরকার। ২০০৭ সালে এটাকে প্রকৃত কার্যকর করা হয়েছে।”

বিচারিক হাকিমদের একটি কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।”

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভাচুয়াল এই অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কোর্স পরিচালক মীর মো. এমতাজুল হক বক্তৃতা করেন।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here