পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে রাশিয়ান হেলিকপ্টার

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ বাহিনীর ব্যবহারের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।

বৈঠকে বন্ড লাইসেন্সধারী পোশাক রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় আনা পণ্য মজুদের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় মাস করার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। আগে এ সময়সীমা চার মাস ছিল।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

“জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ অধিদপ্তরের অধীন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য জিটুজি পদ্ধতিতে রাশিয়ার জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্স এর কাছ থেকে এমআই১৭১এ২ মডেলের দুটি হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।“

একই সভায় বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর তিনটি অনুচ্ছেদ/আদেশ সংশোধনের প্রস্তাব আনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হচ্ছে ৮(৪) (খ), ২৪(১৮) ও ২৪(২৯)(চ)।

সামসুল আরেফিন জানান, এগুলোর মধ্যে ২৪ (১৮) ও ২৪ (২৯) নম্বর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আরেকটি প্রস্তাব আরও যাচাই বাচাইয়ের জন্য ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে তিনি বলেন, সংশোধন প্রস্তাবগুলো ছিল বন্ড লাইসেন্সধারী পোশাক রপ্তানিকারকদের ব্যাক টু ব্যাক এলসির সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সংক্রান্ত।

“আগে লাইসেন্সধারীরা ঋণপত্রের (এলসি) অনুকূলে চার মাসের জন্য মালামাল মজুদ করতে পারতেন, এখন সেটা ছয় মাস করা হয়েছে।”

এছাড়া বন্ডেড ওয়্যার হাউসের লাইসেন্সধারীর আওতায় ব্যাক টু ব্যাক এলসির ভিত্তিতে যারা উৎপাদন ক্ষমতার ৩৩ শতাংশ আমদানি করতে পারতেন, সেটাকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর মজুদের সময়সীমা চার মাস থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ছয় মাস।

এদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে রাশিয়া থেকে প্রতিকেজি ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা দরে এক লাখ টন গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

গম আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই পাস হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।

“রাশিয়া থেকে এক লাখ টন গম কেনা হবে। প্রতিটন গমের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৪১৯ ডলার; প্রতি ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা ৪৫ পয়সা হিসাবে মোট খরচ হবে ৩৫৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা,” বলেন অতিরিক্ত সচিব।

এদিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।

সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ৩৫ দশমিক ৮৯ ডলার মূল্যে কেনা হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি; যার মোট মূল্য ১ হাজার ২০৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

এছাড়া গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ৩৬ দশমিক ৯৫ ডলার মূল্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি কেনা হবে। এক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার ৮৫ টাকা ৪৫ পয়সা হিসাবে মোট খরচ হচ্ছে এক হাজার ২৪১ কোটি ২২ লাখ টাকা।

এলএনজির চড়া মূল্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়তই এলএনজির দাম বাড়ছে। তাই আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম কিনে রাখলাম।”

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here