মদিনার বাঁশির সুরে মুগ্ধ পর্যটক

0

নিউজ ডেস্ক: সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন লোকগানের সুর তোলেন বাঁশিতে। হাতের কারসাজিতে বিভিন্ন তালে গান করেন। জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় বাঁশির সুরে এবং গানে গানে পর্যটকদের মুগ্ধ করেন বংশীবাউল মদিনা মিয়া।

বাঁশিতে শাহ আব্দুল করিম, হাসন রাজা, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক গানসহ অনেক শিল্পী ও বাউলের গান তোলেন। উদ্যানের গহিন অরণ্যে যারা যান, তারা তার বাঁশির সুর শুনতে ভিড় করেন।

ষাটোর্ধ্ব মদিনা মিয়া বসবাস করেন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে। তিন মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবার তার।

দুই দশক ধরে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আইসক্রিম বিক্রির পাশাপাশি বাঁশির সুর ও গান শুনিয়ে আনন্দ দেন পর্যটকদের।

করোনা মহামারির ফলে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় পর্যটকের আগমনও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবার চালাতে হাতে তুলে নেন রিকশা, পা দিয়ে প্যাডেল ঠেলে সংসার চালানোর যুদ্ধে নেমে পড়েন।

পুনরায় পর্যটনকেন্দ্র খোলা হলে চলে আসেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। এই উদ্যানের বাইরে আর কোথাও যান না। ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। পর্যটকরা বাঁশির সুর ও গান শুনে খুশি হয়ে যা দেন, তাতেই এখন চলছে মদিনা মিয়ার সংসার।

এই সময়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর থাকে লাউয়াছড়া। হৃদয়স্পর্শী এমন বাঁশির সুরে সুরে আগন্তুক পর্যটকদের তার সঙ্গে গান গাইতে দেখা যায়।

লাউয়াছড়ার ট্যুর গাইড আব্দুল আহাদ বলেন, তিনি অনেক আন্তরিক মানুষ। গান এবং বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন ম্যাজিক দেখিয়ে আনন্দ দেয়। তার সঙ্গ পর্যটকর উপভোগ করেন।

শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লাউয়াছড়াসহ আশেপাশের এলাকায় পর্যটকদের আনন্দ দিচ্ছেন। তবে তিনি পরিবেশ বিষয়ে সচেতন।

 

 

সূত্র: নিউজবাংলা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here