যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিচার গুলির তিন ঘটনায় নিহত ৯

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শহরে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় ৯ জন নিহত ও দুই ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। পরপর তিনটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা দেশটিকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ও রোববার ভোররাতে ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পুলিশ জানিয়েছে, ফিলাডেলফিয়ায় দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া বন্দুকযুদ্ধের রূপ নেয়, এতে জনাকীর্ণ বার ও রেস্তোরা এলাকায় নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়। এ সময় লোকজন পালানোর চেষ্টাকালে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার মধ্যরাতের পর টেনেসির চ্যাটানুগায় একটি বারের কাছে একই ধরনের গোলাগুলি শুরু হলে ৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়।

রোববার ভোররাতের দিকে মিশিগানের সাগেনওতে আরেকটি গোলাগুলির ঘটনায় আরও ৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়, পুলিশের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে ডব্লিউইওয়াইআই টেলিভিশন।

আগের দুটি ঘটনায় ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন সাধারণ মানুষ নির্বিচার গুলিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সাগেনওতে হতাহত সবাই গোলাগুলিতে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো গুলিবর্ষণের ঘটনায় কাউকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলোতে একটি খুচরা পণ্যের দোকানে নির্বিচার গুলিবর্ষণে ১০ জন, এরপর টেক্সাসের ইউভালডের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে ১৯ শিশুসহ ২১ জন এবং ওকলাহোমার টালসার হাসপাতাল ভবনে ৪ জন নিহত হয়। শহরগুলোর বাসিন্দারা এসব হত্যাকাণ্ডের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি

বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বন্দুক সুরক্ষা আন্দোলনকারীরা।

অলাভজনক গবেষণা গোষ্ঠী গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২৪০টি নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার যেসব ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী বাদে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে সেগুলোকেই ‘নির্বিচার গুলিবর্ষণ’ বলে চিহ্নিত করেছে তারা।

নির্বিচার গুলিবর্ষণের এ ধারা থামাতে অ্যাসাল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করা, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বিস্তৃত করা ও বন্দুক নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here