সংহতি জানাতে কিইভে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির নেতারা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ সফরে ইউরোপের এ শীর্ষস্থানীয় নেতারা মহাদেশটির যুদ্ধকবলিত দেশটিতে যান। একটি ট্রেন তাদের বহন করে ইউক্রেইনে নিয়ে যায়, এ সময় রাতভর তিন নেতা একসঙ্গে ছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কিইভে হাজির হয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ইউক্রেইনীয়দের ঐক্যের, সমর্থনের, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার একটি বার্তা দিচ্ছি আমরা, যেহেতু আসছে সপ্তাহগুলো খুব কঠিন হতে পারে।”

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। বৈঠকে কিইভের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়া ও যুদ্ধ নিয়ে কথা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধের বিষয়ে তারা যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছেন না, ইউক্রেইনের এমন সমালোচনা থেকে মুক্ত হতেই এ তিন নেতা কিইভে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের এ সফরের আয়োজন করতে কয়েক সপ্তাহ লেগেছে।

ম্যাক্রোঁ বলেছেন, “আমরা এখানে আছি, আমরা মনোযোগ দিয়েছি, গণহত্যা হয়েছে এমন একটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে যাবো আমরা।”

কেন এখন এ সফর, এমন প্রশ্নে এলিজে প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের আগে এ সফরের সেরা সময় বলে বিবেচনা করেছেন তারা। ওই সম্মেলনে ২৭ সদস্যের এই ব্লকে কিইভের যোগ দেওয়ার আবেদন নিয়ে আলোচনার কথা আছে।

রাশিয়ার আক্রমণের মুখে চাপে থাকা তার সেনাবাহিনীর জন্য আরও অস্ত্র পাঠানোর জন্য জেলেনস্কি সফরকারী নেতাদের চাপ দেবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ফ্রান্স ও জার্মানি এবং ইতালি ইউক্রেইনকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ ইউক্রেইনের। ইউক্রেইনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার চেয়ে এসব দেশ তাদের নিজেদের সমৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহে দেরি করছে, বলেছে কিইভ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, “জেলেনস্কি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন। ইউক্রেইনীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রতো দরকারই, তাদের সেনার সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।”

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here