সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

0

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার অনুসন্ধানী টিমের সদস্য ও নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ী এবং তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন ওয়েস্ট ধানমন্ডি হাউজিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১১৬০, ১৯-০২-২০২২) করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম আবুল হোসেন মজুমদার। তিনি ওয়েস্ট ধানমন্ডি হাউজিংয়ে অবস্থিত ‘মজুমদার মেগা শপ’ ও ‘মজুমদার এক্সক্লুসিভ শপ’ নামে দুটি দোকানের মালিক। আর তার ছেলেরা হলেন- ফারুক হোসেন মজুমদার ও ফরহাদ হোসেন মজুমদার।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাজ্জাদ হোসেনের অনুপস্থিতে বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন মজুমদার এক্সক্লুসিভ শপের এক কর্মী। পরে বিষয়টি শুনে ওই কর্মীর পরিচয় ও যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দোকানী আবুল হোসেন মজুমদার ও তার দুই ছেলে। আবুল হোসেন হুমকি দিয়ে বলেন- ‘এই বিষয়ে উচ্চবাচ্য করলে চাঁদাবাজ সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে সাজ্জাদ হোসেনকে। ফাঁসানো হবে ইয়াবা দিয়েও।’ এসময় পাশের থাকা তার দুই ছেলে জানান- পুরো হাউজিং এলাকা তাদের কথায় চলে। বাড়াবাড়ি করলে মেরে গুম করে ফেলা হবে পুরো পরিবারকে।’ এসময় হট্টগোল শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাংবাদিকতায় যখন থেকে এসেছি তখন থেকেই মাঝেমধ্যে এমন হুমকি পেয়ে অভ্যস্ত। তাই এখন আর এগুলো গায়ে লাগে না। কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন। যেহেতু আমার বর্তমান আবাস ওয়েস্ট ধানমন্ডি হাউজিংয়ে, তাই এবার আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমার কাছে ঘটনার সময়কার কিছু ভিডিও ধারণ করা আছে ।

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাজারীবাগ থানার এসআই শামসুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাজারীবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরপর রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here