সিগারেটের প্রতি শলাকায় সতর্কবার্তা দিতে চায় কানাডা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিগারেটের প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কতা থাকলেও আশানুরূপ ফল না পেয়ে প্রতিটি সিগারেটের গায়ে সতর্কবার্তা জুড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে কানাডা সরকার।

এর মাধ্যমে ধূমপানের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বার্তাটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপানের অভ্যাস মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে, তা হবে বিশ্বে প্রথম।

তরুণরা সহজেই সিগারেট হাতে পায় এবং তারাই এর মূল লক্ষ্য জানিয়ে ক্যারোলিন বেনেট বলেন, “সামাজিক পরিস্থিতিতে প্যাকেটে মুদ্রিত তথ্যকে তারা পাশ কাটিয়ে যায়।”

এ বিষয়ে জনসাধারণের পরামর্শ নিতে শনিবার থেকে দেশটিতে ৭৫ দিনের ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “তামাকজাত প্রতিটি পণ্যের গায়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা জুড়ে দিলে মানুষের কাছে তা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা তৈরি হবে।”

সাংবাদিকদের তিনি জানান, কানাডায় ২০০১ সালে সিগারেটের প্যাকেটে ছবি সম্বলিত সতর্কতা চালু করা হয়। কিন্তু সরকার যতোটা আশা করেছিল, ততোটা কার্যকর ফল পাওয়া যায়নি।

কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশন সরকারের নতুন এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।

ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ডৌগ রথ কানাডার সিবিসি পাবলিক ব্রডকাস্টারকে বলেন, “সিগারেটের জন্য কানাডায় এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থা থাকবে।

“এগুলো প্রাণঘাতী পণ্য, এই পদক্ষেপগুলো তরুণ এবং অধূমপায়ীদের আকর্ষণ কমাতে সহায়ক হবে। সেইসঙ্গে সিগারেট ছেড়ে দিতে ধূমপায়ীদের চেষ্টাকেও সমর্থন যোগাবে।”

‘স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সাল ৪০ লাখের বেশি কানাডীয় নাগরিক নিয়মিত কিংবা বা মাঝে মাঝে ধূমপান করেছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে অসুস্থতা এবং অকাল মৃত্যুর প্রধান প্রতিরোধযোগ্য কারণ হচ্ছে তামাক। কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি।

কানাডিয়ান লাং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ধূমপানের ফলে প্রতি বছর আনুমানিক ৪৮ হাজার কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here