সেই ‘সেক্স টেপ’ কাণ্ডে শুনানির মুখে বেনজেমা

0

স্পোর্টস ডেস্ক: বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন করিম বেনজেমা। কিন্তু ২০১৫ সালের আলোচিত ‘সেক্স টেপ’ কাণ্ড থেকে সহজে নিষ্কৃতি মিলছে না রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের। আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে। কৌশুলিদের অভিযোগ, ব্ল্যাকমেইলারকে অর্থ দিয়ে বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার জন্য ম্যাথিউ ভালবুয়েনাকে প্ররোচিত করেছিলেন বেনজেমা।

২০১৫ সালের শেষ দিকে বেনজেমার বিরুদ্ধে জাতীয় দলের সতীর্থ ভালবুয়েনাকে ‘সেক্স টেপ’ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে, ওই বছরের ডিসেম্বরে ফ্রান্স দল থেকে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

দীর্ঘ পাঁচ বছরের বেশি সময় পর গত মে মাসে জাতীয় দলে ফিরেন বেনজেমা। তাকে নিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দল ঘোষণা করেন ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ দিদিয়ে দেশম।

প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, সেক্স টেপটি লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার জন্য ব্ল্যাকমেইলারদের গ্রুপটিকে অর্থ দিতে প্রলুব্ধ করেছিলেন বেনজেমা। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলার কারণে বুধবার শুরু হওয়া শুনানিতে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না এই ফরোয়ার্ড।

কৌশুলিদের ভাষ্য, ২০১৫ সালের জুনে প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলে ফ্রেঞ্চ দলের অনুশীলনের সময় ভালবুয়েনা ব্ল্যাকমেইলারদের প্রথম ফোন পান, তখন তাকে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

ভেরসাইয়ের কাছাকাছি আদালতে বুধবার ভালবুয়েনা বলেন, যিনি ফোন করেছিলেন তিনি পরিষ্কারভাবে অর্থ চেয়েছিলেন। ব্ল্যাকমেইলাররা তার ক্যারিয়ার এবং জাতীয় দলে জায়গা নিয়ে ভয়ও দেখিয়েছিলেন।

পেশাদার দায়িত্বের কারণে আদালতে অনুপস্থিত বেনজেমার আইনজীবী ওই অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেন।

৩৩ বছর বয়সী বেনজেমা সব মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ৯২টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৫ সালের পর প্রথম ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলে ডাক পান তিনি। গত মঙ্গলবার শাখতার দোনেৎস্কের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ৫-০ গোলে জেতা ম্যাচে খেলার কারণেই আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।

আলোচিত ওই ‘সেক্স টেপ’ কাণ্ডে বেনজেমার মতো ভালবুয়েনাও জাতীয় দলে জায়গা হারান। কৌশুলিদের ভাষ্য, নাম প্রকাশ না করে ওই ফোনদাতা ভালবুয়েনার সঙ্গে ‘সমঝোতায় আসার’ ইচ্ছা জানিয়েছিলেন এবং তার কাছে মধ্যস্থতাকারীর নাম জানতে চেয়েছিলেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্ল্যাকমেইলাররা প্রথমে সাবেক ফরাসি স্ট্রাইকার জিব্রিল সিসেকে প্রস্তাব দিয়েছিল ভালবুয়েনাকে অর্থ দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বোঝাতে। তবে উল্টো তিনি এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তাকে সতর্ক করে দেন বলে জানান ভালবুয়েনা।

এক ছদ্মবেশি পুলিশ অফিসার ভালবুয়েনার হয়ে ‘মিডলম্যান’ এর ভূমিকা নিয়ে ২০১৫ সালের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে সময়ে ফোনের কথা রেকর্ড করেন। এর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্ল্যাকমেইলারকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় বলে দাবি প্রসিকিউটরের।

এরপর নাকি ওই অভিযুক্ত ব্ল্যাকমেইলার বেনজেমাকে নিযুক্ত করে যেন সে ভালবুয়েনাকে বোঝায় অর্থ দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করতে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেনজেমার পাঁচ বছরের জেল এবং ৭৫ হাজার ইউরো জরিমানা হতে পারে।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here