৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে

0

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কয়েকদিনের গরমের পর ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি চট্টগ্রামবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও তা কেড়ে নিয়েছে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ।

চট্টগ্রামে শনিবার সকালে ৩ ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, আর তাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বেশ কয়েকটি এলাকায়।

সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি চলে নগরীতে। তবে তার আগে আকাশে রোদও উঠেছিল।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে ৯টা থেকে ১২টা র মধ্যে হয়েছে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখীতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টিতে দুই নম্বর গেট, চকবাজার, কাপাসগোলা, কালামিয়া বাজার, বাদুরতলা, জঙ্গী শাহর মাজার গেট, বড় মিয়া মসজিদ, কে বি আমান আলী রোড, ফুলতলাসহ কিছু স্থানে সড়কে ও বাসাবাড়ির আশেপাশে গোড়ালি থেকে হাঁটু পানি জমে।

চকবাজার এলাকার বাসিন্দা রুমন ভট্টাচার্য্য বলেন, “চকবাজার কাঁচা বাজার, বড় মিয়ার মসজিদ, ফুলতল, কে বি আমান আলী সড়কে পানি উঠে যায়। সেই নোংরা পানি ডিঙিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের অফিসে যেতে হয়েছে।

“সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের ইউনিফর্ম নিয়ে ময়লা পানির ভিতর দিয়ে ক্লাসে যেতে হয়েছে।”

নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় প্রধান সড়কে পানি জমে যায়। পানির ভিতর দিয়ে রিকশা, প্রাইভেট কার ও বাসসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল করছিল।

দুই নম্বর গেট থেকে আগ্রাবাদ যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. রায়হান। তিনি বলেন, “এখানে এর চেয়ে কম বৃষ্টিতেও পানি উঠে। সামনে বর্ষা। তখন তো প্রতিদিন এ অবস্থা হবে। আবার খাল-নালার কোথায় খোলা তার ঠিক নেই। ভয়ে ভয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়।”

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। এরমধ্যে সবচেয়ে বড়, প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

এই প্রকল্পের পূর্ত কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পটির আওতায় নগরীর বেশ কয়েকটি খালে নির্মাণ কাজের জন্য অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

সেসব বাঁধ এখনও খুলে না দেয়ায় গ্রীষ্মকালীণ বৃষ্টিতেও নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী।

তিনি বলেন, “যেসব জায়গায় খালে বাঁধ আছে তা বর্ষার আগে অপসারণের জন্য আমরা সিডিএকে তালিকা দিয়েছি। তারাও বলেছে বর্ষার আগে সেগুলো সরিয়ে নেবে।

“কিছু বাঁধ ইতিমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো রয়ে গেছে সেগুলোর কারণে পানি সরতে পারছে না। তাই জলাবদ্ধতা হচ্ছে।”

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here